পোস্টগুলি

শুনছি , ঘাস বাড়ছে!

ছবি
"আচ্ছা মেঘ গুলো সব গেলো কোথায় ?" বললে ল্যুবেশকা।   ঘাসের ওপর শুয়ে শুয়ে সে নীল আগুনে পোড়া আকাশটাকে দেখছিল। পরিষ্কার ফাঁকা আকাশ।শুধু ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে একটা তপ্ত গোলক -- সূর্য। আজ দুদিন ধরে এই চোখ ধাঁধানো গোলকটায় মেঘের ছায়া পড়ে নি। গুমোট। গরম। তপ্ত হাওয়ায় তালু জ্বলে যায়। পুড়ছে , পুড়ছে , ফ্যাকাশে নীল আগুনে পুড়ছে উঁচু আকাশটা।   পুড়ছে একদিন,দুদিন , সপ্তাহ, দুসপ্তাহ। সাদা মেঘ গুলো যেন দানা বাঁধতে না বাঁধতেই সে আগুনে বাষ্প হয়ে উড়ে যাচ্ছে।   'অমন মনমরা কেন ওগুলো , অমন চুপচাপ ?' বললে ক্ষেতের গম শীষ গুলোকে লক্ষ্য করে।        গমগাছ গুলো দাঁড়িয়ে আছে একেবারে নিশ্চল। গম , ঘাস , গাছপালা --- সবকিছুই। এতটুকু খসখসানি নেই।     'হবে না মনমরা !' পাশ দিয়ে যাচ্ছিল শূরা   মাসি , আমার হয়ে জবাব দিলে , ' ঘাস গুলো যে নিঃশ্বাস নিতেই পারছে না, শুকিয়ে মরবে। ' 'ঘাসে আমার নিঃশ্বাস নেয় নাকি?'                                                                   ‘নেয় বৈকি, ' বললাম আমি।      ল্যুবশকা ঘাসের য়পর কান পেতে শুনল:       'উঁহুঁ , শুনতে পাচ্ছ

রুটির ফুল

ছবি
ছোট্ট কলিয়ার যতদূর মনে পড়ে , যুদ্ধের দিনগুলোয় তার কেবলি ক্ষিদে পেত। ক্ষিদে   সে কিছুতেই সইতে পারত না ,   মানিয়ে নিতে পারত না , রাগের ঝলক ফুটত তার কোঠরে ঢাকা চোখে , অনবরত খাবার খুঁজে বেড়াত। না-ছাঁটা এলোমেলো কালো কালো চুল আর খোঁচা খোঁচা পাঁজরায় তাকে দেখাত যেন ছোট্ট রোগাটে এক নেকড়েছানা। খাওয়ার মতো কিছু একটা পেলেই সে   তা মুখে তুলত --- সরেল , মুখে আঁটকে আসা বৈঁচি , বার্ড-চেরী , কি সব শেকড়বাকড় , অসহ্য   টক আর শক্ত বুঁনো   আপেল। বাড়িতে সে পেত জলের মোট মত   কিছু ঝোল আর রুটি। ঝাড়াই করা জোয়ারের গুছি গুঁড়ো করে মা মেশাতো ময়দার সঙ্গে , ফলে রুটি হতো ভারি , চ্যাটচেটে , সোঁদা   সোঁদা    কাদাটে গন্ধ উঠতো। কিন্তু এ রুটিও কলিয়া দেখতে দেখতে খেয়ে নিত , নাক ফুলিয়ে ফোঁস ফোঁস করতো লোভীর মতো। সারা যুদ্ধের মধ্যে একবার সে রুটি খেয়েছিলো পেট পুরে।   সে রুটি জোয়ার গুছির গুঁড়োর নয় , সত্যিকারের। তা সঙ্গে নিয়ে এসেছিলো সৈন্যরা। কুটিরে তারা ঢোকে রাত্তিরে। তাদের ভারী গ্রেডকোট আর জীর্ণ হাইবুটে শাদামত   কী একটা জিনিসের প্রলেপ , আধা-অন্ধকারে চিকচিক করছিলো তা , মনে হয় যেন তুষার কণা   লেগে আছে। অথচ বাইরে তখন বৃষ্টি